Saturday, December 7, 2019

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক’ সম্মেলনে
এ‘দুধুখাঙ’,‘আবজ সাপ’‘ঘিলেফুল’সহ ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।

নূতন ধন চাকমা,পানছড়ি।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফেরাম’ সম্মেলন-২০১৯ইং এ‘দুধুখাঙ’,‘আবজ সাপ’ ‘ঘিলেফুল’সহ ৫টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গত শুক্রবার(০৬.১২.১৯ইং) সকালে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলনে এসব বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।


শিক্ষক ও কবি শিশির চাকমার সভাপতিত্বে ও আনন্দ জ্যোতি চাকমা, মুকুল কান্দি চাকমা ও নুকু চাকমার সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি হাসান হাফিজ।
 
বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রভাংশু ত্রিপুরা, ক্যাসামং মারমা, চারুশিল্পী রকি হক। 

দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।




এছাড়াও বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক ও কবি ভদ্র সেন চাকমা, প্রবন্ধকার, কবি ও গবেষক মথুরা ত্রিপুরা, শিক্ষ ও কবি আর্যমিত্র চাকমা, শিক্ষক ও কবি বিপম চাকমা,  শিক্ষক ও কবি সবিতা চাকমা, শিক্ষিকা স্মরনিকা চাকমা প্রমূখ।

বক্তারা বলেন- এক জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি অন্য জাতিগোষ্ঠী থেকে লিখে দিলে তথ্যগত ভুল হয়। এতে নৃ-গোষ্ঠীদের সঠিক সংস্কৃতি ফুটে ওঠে না। 
পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-তাত্তি¡ক জনগোষ্ঠীর নিজ নিজ মাতৃভাষার মাধ্যমে সাহিত্য চর্চা ও লেখনীর মাধ্যমে নিজ নিজ জাতি সত্তার ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলো ধরার আহবান জানান।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে শিক্ষক, কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমাকে সভাপতি, শিক্ষক, কবি আনন্দ জ্যোতি চাকমা সাধারন সম্পাদক করে নতুন কমিটি করা হয় এবং সন্ধ্যায় কবিতা পাঠের আসর বসানো হয়।

উন্মোচনকৃত বইগুলো হল-‘পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরামের স্মাারকগ্রন্থ, শিক্ষক, কবি ও নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমার ‘দুধুখাঙ’,
‘চাকমা জাতির আত্ম পরিচয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নানা প্রসঙ্গ’ নিয়ে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা শুভ্র জ্যোতি চাকমার গ্রন্থ, শিক্ষক, কবি বিপম চাকমার গ্রন্থ ‘আবজ সাপ’, চাকমা জাতির ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে সংবাদকর্মী নূতন ধন চাকমার কাব্যগ্রন্থ ‘ঘিলেফুল’, রাঙামাটি বনযোগী ছড়া সমিতির গ্রন্থ রদংকাবা।













সম্মেলনে তিন পার্বত্য জেলার চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখুয়া, লুসাই, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, চাক, খিয়াং জনগোষ্ঠীর লেখকরা অংশ নেন।
৭.১২.১৯ইং

No comments: